• শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ধর্ষক পিতাকে কুপিয়ে হত‍্যার পর ৯৯৯ এ ফোন করে আত্মসমর্পণ করলেন মেয়ে চৌহালীতে সিএনজি  স্ট্যান্ড দখল ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন চৌহালীতে পরীক্ষা কেন্দ্রে উত্তর বলে দেওয়ায় ১০ শিক্ষক গ্রেপ্তার ইলেকট্রনিক শর্ট দিয়ে মাছ শিকার চৌহালীতে ৬ জেলেকে অর্থদন্ড অবৈধ ঔষুধ তৈরির কারখানার গ্যাং সদস্যদের দিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা! এখনো গ্রেফতার হয়নি কেও চৌহালীতে মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চৌহালীর বহুলাকুল স্কুলে শিক্ষক আছে ছাত্র নেই চৌহালী বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ চৌহালীতে ঘন ঘন লোডশেডিং জনজীবন অতিষ্ঠ চৌহালীতে দাখিল পরীক্ষায় নকল করায় বহিষ্কার-১

৮ প্রহর ব্যাপী অখন্ড, শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান

Reporter Name / ৫৯১ Time View
Update : শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার(ফুলবাড়িয়া): টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা থেকে ২৬ কিলোমিটার পুর্বে ধলাপাড়া ইউনিয়নে ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় রাধা কৃষ্ণের ভক্তদের পুণ্যস্থান “গুপ্ত বৃন্দাবন” (Gupta Brindaban) নামক গ্রাম অবস্থিত।

এখানে প্রতিবছর চৈত্র মাসের ১২ তারিখ প্রায় ৭০০ বছরের পুরনো একটি কালো তমাল গাছকে কেন্দ্র করে জমজমাট বারুনি মেলার আয়োজন করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও এই উৎসবে আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে সকল ধর্মের দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে।

গুপ্ত বৃন্দাবন গ্রামের নামকরণ এবং তমাল গাছটিকে ঘিরে নানান কল্পকথা প্রচলিত আছে। এলাকার স্থানীয় হিন্দু, আদিবাসি ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করেন, মধুরায় শ্রীকৃষ্ণের উপর কংশ রাজার অত্যাধিক অত্যাচারের কারনে রাধা এবং ১৫০০ জন গোপিনীকে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণ পালিয়ে আসেন। এই ঘটনার কারণে স্থানটি গুপ্ত বৃন্দাবন নামে পরিচয় লাভ করে।

তবে ইতিহাস হতে পাওয়া তথ্য মতে, এই জায়গার পূর্ব নাম বৃন্দাবন। গুপ্ত বংশীয় বিভিন্ন নিদর্শন এই স্থান হতে প্রাপ্তির ফলে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক ১৫৭৭ সালে জায়গাটির নাম দেন গুপ্ত বৃন্দাবন।

আর রাধা কৃষ্ণের ভক্তরা বিশ্বাস করে, গুপ্তবৃন্দাবনের তমাল গাছের ডালে রাধা কৃষ্ণ দোল খেতেন ও অভিসারে মিলিত হতেন।

তমাল গাছের উত্তর পাশে একটি রাধাগোবিন্দ মন্দির রয়েছে। এছাড়া এখানে আরো আছে বিভিন্ন প্রাচীন মূর্তি ও মন্দির। প্রতিবছর বাংলা সনের চৈত্র মাসে এখানে বাৎসরিক মেলা ও কীর্তনযজ্ঞের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রাকৃতিক পরিবেশের আবহ থাকায় আগে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম লীলার স্মৃতি কল্পনা করা যেত। ঐতিহাসিক এই তমাল গাছ রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি এখানকার সেই প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি তাদের।

Facebook Comments Box


More News Of This Category
bdit.com.bd
error: Content is protected !!