স্টাফ রিপোর্টার(ফুলবাড়ীয়া): সেবায় ব্রত, সেবাই ধর্ম” এই স্লোগানে ময়মনসিংহে একটি সামাজিক ও উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান খন্দকার মোহাম্মদ আলী ও জাহেদা ফাউন্ডেশনের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর গ্রীন পার্ক রেস্টুরেন্টে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক খন্দকার বাকী বিল্লাহ্ এ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফাউন্ডেশনের পরিচিতি ও ক ার্যক্রম সম্পর্কে তুলে ধরে বলেন, খন্দকার মোহাম্মদ আলী পাবনা জেলার অন্তর্গত সুজানগর উপজেলার গাবগাছি গ্রামে ১৯৩৯ সালে ২৬ শে মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স এবংঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষে তিনি সুজানগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি নান্দিনা হাই স্কুলের যোগদান করেন এবং ১৯৬২ সালে তিনি ময়মনসিংহ এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশন স্কুলে যোগদান করে ২০০২ সাল পর্যন্ত কর্মকর্তা ছিলেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের আজীবন সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারিভাবে সংবর্ধনা পেয়েছেন। এই মহান শিক্ষা অনুরাগীর সন্তান হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। এই মহান ব্যক্তিটি ২০০৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন। জায়েদ মোহাম্মদ খন্দকার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। ব্যক্তি জীবনে তিনি ধার্মিক ও মিশুক মহিলা ছিলেন।
তিনি আরো বলেন- আমাদের ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে প্রধানত সামাজিক ও শিক্ষা কর্মকান্ড পরিচালনা করা, গরিব অসহায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সহায়তা, রক্তদান কর্মসূচি ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের বাস্তবায়ন করা, বিভিন্ন উৎসবের সময় গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ, মসজিদ ও মাদ্রাসায় দান, এতিম অসহায়দেরকে আর্থিক সাহায্য প্রদান, বিধবা ও বয়স্ক ও নিঃস্বদের কে আর্থিক সাহায্যসহ মোট তেরটি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর চরপাড়ায় অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ কর্মসূচি এবং ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন উপলক্ষে গরিব অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) উত্তম চক্রবর্তী রকেট, ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের বড় ভাই খন্দকার জোবায়দুর রহমান সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।